একদিন সব ছাইড়া চইলা যাবো
একদিন সব ছাইড়া চইলা যাবো। এই কাঠগোলাপ, সাদার মায়া সব কিছু ঝাপসা লাগবে। এইযে ভিকারুননিসার সামনে আমড়া আর বড়ইয়ের আচার বেঁচা মামাটা তার কাছেও লাল আমসত্ত্বটা বাড়ায় দেয়ার জন্য ঘ্যানঘ্যান করবো না। নীলক্ষেতের মামা ভুইলাই যাবে যে এক শ্যামলা কইরা লম্বাটে এক মাইয়া তার কাছে তাবৎ বাংলা বইয়ের দাম অর্ধেকে নামায় আনার জন্য বিষম চেষ্টা কইরা যাইতো। কিন্তু দিনশেষে মাইয়ার টিউশনির টাকা যাই থাকুক না কেন, মামার তো সংসার চালাইতে হবে। এই শালার কঠিন রোদে পুইড়া বিক্রি করা বইগুলান তো মামার জীবিকা, মাইয়াটার মতো বিলাসিতা না। একদিন ঠিকঠাক সব ছাইড়া চইলা যাবো। পাঁচ নাম্বারের গলির মুখের মামার কাছে কয়েক বাটি বেশি টকের জন্য চিল্লাবো না। নিজের বন্ধু বান্ধবীদের সাথে আমারে কেন পাত্তা দেয় না এহেন তর্ক নিজেই তুলিয়া নিজেই যুক্তি দিয়া নিজেই জিইতা গিয়া পার্ট নেয়ার চেষ্টা করবো না। চিল্লাচিল্লি করে কিছু হয় না। যা হওয়ার তা আপসে হয়, যা হয় না তা হয় না। এই ক্ষুদ্র জীবনে এইটুকুন শিক্ষা হইসে। মাটির মনে যদ্দুর মায়া ধরে তদ্দুর মায়া এই শরীরের পরতে পরতে মাইখা আছে। এর বেশি আশা এই মানব বৃক্ষের নাই। একদিন সত্যি সত্যি সব ছাইড়া চইলা যাবো। হকা...