গরল বচন: ২
মনের অস্তিত্ব নেই, তবে তার সবকিছু শরীরের ভেতরে জানান দেয় কেন? না থেকেও থাকার সর্বত্র জুড়ে থাকা? খুব অন্যায় চেষ্টা বলতে হবে! ইদানীং এই সুক্ষ ব্যাপারগুলো ধরতে পারি না, অনুভূতির দেয়ালে শ্যাওলা জমে স্যাতস্যাতে হয়ে গেছে। তবে গত রাত থেকে পারছি। কেউ একজন যেন সিরিশ কাগজ দিয়ে সবুজ রঙা শ্যাওলাগুলো তুলে ফেলেছে। তার পর তাতে লেপ্টে দিয়েছে এক আকাশ অপরাধবোধ। বিষাদদের পাখি হয়ে উড়ে যাবার কথা ছিল, কিন্তু সেগুলোও অন্তঃসারশূন্য হয়ে বৃথা ডানা ঝাপটায়। আমার দেয়াল ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে, কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
আমার সামনে দিয়ে হেটে চলে সত্যের সারি, মাটি খোড়ে, কবরের। একেকটা কবর একেকটা বোবা টানেলে রূপ নেয়, দুপাশে সমান অন্ধকার, সে অন্ধকারে হাজার বছরেও চোখ সয় না। গভীর রাতে লণ্ঠন জ্বেলে আসে ডাকপিয়ন, হারানোর বার্তা নিয়ে।
আচ্ছা, কার বুক বেশী ভারী হয়? যে হারিয়ে যাচ্ছে তার, নাকি যে হারিয়ে ফেলছে তার?
:)
ReplyDelete