হসন্ত-২

হসন্ত গতকাল রাতে আমার জানালা গলে অদ্ভুত জোছনা এসেছিল, জানো? আমার কড়া নিহিলিজমের জোছনা নয়, তোমার হুমায়ুন আহমেদীয় ফিনিক ফোঁটা জোছনা। এই যে ইদানীং আমার অযথাই নাক টানার এক বিচ্ছিরি স্বভাব হয়েছে, তার কারণে চাঁদখানা আমাকে ডাকার আগে আমি তাকে খেয়াল করিনি। চাঁদ দেখার একটা বাঁধাধরা নিয়ম আছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত চোখ না জ্বলে ততক্ষন পর্যন্ত ঠায় তাকিয়ে থাকতে হবে, এরপর যখন চোখে বিষম জ্বলুনি হবে তখন শুধু সৌন্দর্যের সামনে মাথা নামিয়ে রাখতে হয়। এমন এক মাথা নোয়ানো মুহুর্তে তুমি ফোন দিয়েছিলে। ধরিনি। ভালোবাসা আর সৌন্দর্য সমানুপাতিক, দুটোকে এক করতে হয় না। কিন্তু দিব্যি দিয়ে বলছি, তোমার কথাই ভেবেছি। এই যে এত অল্প সময়ে আকাশসমান পিছুটান তৈরি হয়ে গেলো সে দায় কার? অবশ্যই তোমার। শাহানা বাজপেয়ীর মত করে বললে, 'আমি তো ছিলাম বেশ চুপিসারে.....'। আমার সেই স্বপ্নভেজা মাটিতে নীলচে আলো জ্বেলে আসার কি খুব প্রয়োজন ছিল? কেউ যে নিজেকে নিজের কাছে বন্ধক রেখে অন্য কাওকে সবকিছু একাকার করে ভালোবাসতে পারে সেই বিচ্ছিরি প্রমাণটা করার খুব প্রয়োজন ছিল? একটা হিসাব তো কষেই নিয়েছিলাম নিজের মত করে, একটা নিজের জগত, একটা বাইরের জগত...