মাঝ রাত্তিরে বুকের কষ্ট রক্তে ছড়িয়ে গেলে খুব আরাম হয়। গলা পর্যন্ত আটকে থাকা বুর্জোয়া কান্নাগুলো আহ্লাদি শুয়োপোকার মতন দিকভ্রান্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে, পুরো শরীরে, অনেকটা কিংবা পুরো হিরোইনের মত। মনে মনে বলি, যাক শালা! কষ্টের সুষম বণ্টন হলো তবে! ক্লান্ত ময়রার মত দুঃখগুলোকে মাছি মনে করে এদিক ওদিক থেকে সরাতে থাকি। ঠিক যেমন শওকত আলী বলেছিলেন দীর্ঘদিনের শোকে হাহাকার থাকে না, তেমনি বিষাদবিহীন কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছি পুরো শরীরে ক্যান্সারের মত, নাকি এইডসের মত? তলপেটের নিচটায় প্রায়ই একরকম শিরশিরে অনুভূতি হয়, মনে হয় কোন বিশালাকার সরীসৃপ আমার চামড়ার সর্বস্ব চেটে এগিয়ে চলছে। আমার ভীত সন্ত্রস্ত তলপেট জাগ্রত হয়ে ওঠে, মুহূর্তের মাঝে, এমনকি ঘুমের মাঝেও। সেই চামড়ায় লেপ্টে থাকা জাগ্রত অনুভূতিটা জিতেন্দ্রিয়ের মত এগিয়ে যেতে থাকে আমার যোনিপথের দিকে। হ্যাঁ, এই নামেই চিনেছিলাম একে। তবে চেনার বহু আগেই জেনেছিলাম, দেখার অনেক আগেই বুঝেছিলাম। চামড়ার মাঝে জলন্ত সিগারেট ঠেসে ধরার মত একটা অনুভূতি হয়। জ্বলাটা ওখান পর্যন্ত থাকলেও হতো, কিন্তু থাকে না। অবাধ্য স্রোতের মত শিরা-উপশিরার মধ্য দিয়ে ওপরে উঠতে থাকে। মাঝে মধ্যে মিশে যায় আমা...
Comments
Post a Comment