আকাশ, নুড়ি পাথর এবং সেচ্ছামৃত্যু
আমি নিজেকে আস্ত আকাশ এনে দেবার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।
খয়েরী রঙা কিংবা লাল।
কিন্তু আমার আমি বেছে নিয়েছে সস্তা নুড়ি পাথর-
বৈশিষ্ট্যহীন, অচল।
মানব প্রকৃতি প্রাপ্তিকে যোগ্য মনে করে না,
অপ্রাপ্তির উপাসনাই এখন হাল আমলের ফ্যাশন,
অধরাই নাকি মুক্তি?
আফসোস!
এখন আকাশের প্রতিদ্বন্দ্বী
পলকা ঐ নুড়ি পাথর।
জীবনের ফিবোনাক্কি সিরিজে
অশরীরী তর্জনী গর্জে ওঠে!
ঈশ্বর, তোমার সূর্যের আলো ফ্যাকাশে কেন?
ঈশ্বর নিরুত্তর...
ঈশ্বর নিরুত্তেজ...
ঈশ্বর নিরুপায়...
ঈশ্বর নিরুত্তর...
ঈশ্বর নিরুত্তেজ...
ঈশ্বর নিরুপায়...
আকাশটা ধূসর হতে হতে নেমে আসে
পৃথিবীর কোলে,
গুটিসুটি মেরে মাথা রাখে,
ঐ একটুখানি নুড়ির বুকে।
একটা খয়েরী আকাশের প্রতিশ্রুতি ছিল
আমার নিজের কাছে।
ছাইরঙা প্যাঁচাটাকে আকাশ ধার দিয়েছে তার রঙধনু,
প্যাঁচা উজাড় করে দিয়েছে তার ধূসরতা।
ফ্যাকাশে যার ধর্ম, তাকে কি রঙের ছোয়া পোষায়?
এ কেমন সেচ্ছামৃত্যু তার?
পাখি বিস্মৃত হয়েছে গত জন্মের অনুধাবন।
মৃত্যুর চেষ্টায় যতটা বিষাদ থাকে,
মৃত্যুতে তা উবে যায়।
Comments
Post a Comment