হযবরল



পত্রের শুরুতে সম্বোধনের স্থানটা


আমার বড্ড মেজাজে চিড় ধরায়
ত্রিভুজ স্বপ্নের চতুষ্কোণ দেয়ালে
যে আবছায়া আর বিষাদ নীলের সাথে
আমার প্রাগৈতাহাসিক সহবাস
সেই সাংসারিক যাযাবর সম্পর্ককে
কি নামে ডাকবো?


তাদের সম্বোধন করাটা কি এই
নাম-কা-ওয়াস্তা এবং নিতান্তই সস্তা
গণতন্ত্রের যুগে বেপরোয়া পরিমান ধৃষ্টতা হয়ে যাবে না?
অন্তত নীল নীল ওই শামুক-গহ্বর-সামিল বিবশ অচৈতন্য প্রহরে
বেশ্যা আবছায়াগুলো


বাউল আশ্রমের কমলা-হলুদ টিমটিমে আলোর মত জেগে ছিল।
একসাথে, হয়তো ঝিমিয়ে ছিল, তবুও ছিল।
অনেকটা এ যুগের "প্রোলেটারিয়েট" সমাজের মত,
রাতদিন ভীষণ প্রতিবাদে অথচ স্বল্প পারিশ্রমিকে ছিল, তবুও ছিল।


উপত্যকা আর নীলিমা যেখানে বিষণ্ণতার ধোয়ায়
নব্য মফস্বল-আগত যুবকের মত অলিতে-গলিতে হারায়,
ঠিকানার সজ্ঞানে নতুবা ন-জ্ঞানে।


সেই বেহায়া বেওয়ারিশ বিষাদ-নীল আমার!
শোনা যায়? আড়ষ্ট সূর্যের ধিক্কার
আজন্ম আভরণের প্রতি, ভণ্ড চাঁদের প্রতি।
কবি আর কৃষকের জীবনের রসদে এত আশ্চর্য মিল কেন?

Comments

Popular posts from this blog

তোমরা বরং “বংশোদ্ভূত”ই থাকো!

হসন্ত-২

গরল বচন: ২